প্রতীকী ছবি।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার এস এম সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, “রথযাত্রা যেন সুন্দর ও নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, এই উৎসবের নিরাপত্তার জন্য বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, সোয়াট, গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
২৭ জুনের মূল রথযাত্রা এবং ৫ জুলাই পালিতব্য ‘উল্টো রথযাত্রা’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। পাশাপাশি ডিবি, সোয়াট, ট্র্যাফিক পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। ডিবির একটি বিশেষ দল সাদা পোশাকে থাকবে, যারা পুরো আয়োজন পর্যবেক্ষণ করবেন।
বাংলাদেশে রথযাত্রা মূলত জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়, যা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে উদযাপিত হয়। রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রম থেকে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) এই রথযাত্রার মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। এছাড়া রামসীতা মন্দির, শাঁখারীবাজার ও জগন্নাথ জিউ মন্দিরসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে উৎসব উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “ঢাকায় রথযাত্রা একটি বড় শোভাযাত্রা, তাই সবার সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।” তিনি আয়োজকদের অনুরোধ করেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শোভাযাত্রার শুরু এবং সমাপ্তি নিশ্চিত করতে। “সব ধর্মীয় উৎসবে আমরা নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে এই আয়োজনও সফল হবে,” তিনি উল্লেখ করেন।
রথযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আজান ও নামাজের সময় লাউড স্পিকার ব্যবহার না করার, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করার, ব্যাগ বা প্যাকেট বহন না করার এবং সন্দেহজনক কোনো বিষয় লক্ষ্য করলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
ডিএমপি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এই সমন্বয় সভায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি এবং রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতারা।
