Logo Logo
জাতীয়

বিজয় সরণিতে ‘মৃত্যুঞ্জয় প্রাঙ্গণ’ অপসারণ, নির্মিত হবে ‘গণমিনার’


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

ঢাকার বিজয় সরণিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়’ এবং তার চারপাশের স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


আগামী জুলাই মাসে ‘জুলাই-অভ্যুত্থানে’ শহীদদের স্মরণে নতুন ভাস্কর্য ‘গণমিনার’ নির্মাণের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল থেকেই বিজয় সরণিতে গড়ে ওঠা ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’-এর সাতটি দেয়াল ভাঙার কাজ শুরু হয় এবং তা দিনভর চলে। ২০২৩ সালের ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় এ ভাস্কর্যটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরে ধ্বংস করা হয়।

২০২১ ও ২০২২ সালের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত ‘মৃত্যুঞ্জয়’ ভাস্কর্যটি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি-ভিত্তিক একটি ভাস্কর্য। পরে এটি বিজয় সরণিতে স্থাপন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নির্মিত একটি চত্বরে গড়ে তোলা হয় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’। এখানে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর অবদান সাতটি দেয়ালে চিত্রায়িত হয়। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর এই প্রাঙ্গণের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে গত বছরের ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্য ভাঙচুরের অংশ হিসেবে এই ভাস্কর্যটিও ধ্বংস করা হয়। এরপর থেকে তা ‘অগোছালো’ অবস্থায় পড়ে ছিল বলে জানিয়েছেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

ভাস্কর্য অপসারণের বিষয়ে ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, “মূর্তিটি ভেঙে যাওয়ার পর বাকি অংশগুলোও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। তাই জায়গাটি পরিষ্কার করা হয়েছে। সেখানে নতুন কিছু করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। জুলাই, বিজয়, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস সবকিছু মিলিয়ে নতুন একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে।”

তিনি আরও জানান, “এই জুলাই মাসের মধ্যেই ভাস্কর্যের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই। জায়গাটি ফাঁকা রাখলে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়—তাই দেরি না করে দ্রুত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”

গত ২০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’ জানায়, তারা এই মিনার নির্মাণে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে গণচাঁদা সংগ্রহের কর্মসূচি শুরু করেছে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম এ উপলক্ষে বলেন, “জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন, আহত হয়েছেন হাজার হাজার। তাদের স্মরণেই বিজয় সরণিতে ‘গণমিনার’ নির্মাণ করা হবে।”

তিনি জানান, ৫ অগাস্টের মধ্যেই একটি দৃশ্যমান রূপরেখা উপস্থাপন করতে চায় কমিটি। পুরো বিজয় সরণি জুড়ে এই মিনারের পরিকাঠামো সাজানো হবে।

আরও পড়ুন

হাবিপ্রবিতে  দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম
হাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম
জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন