বিজ্ঞাপন
ফলে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জন্য এ ব্রিজ এখন হয়ে উঠেছে দুর্ভোগের প্রতীক।
স্থানীয়রা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপার চালু রেখেছেন। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো পার হচ্ছে। ইতোমধ্যে অন্তত ২৫ জন শিশুর স্কুলে যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে একবার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সাবিনা বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে প্রাণে রক্ষা পেলেও তার এই ঘটনা স্থানীয়দের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
খাল সংলগ্ন এলাকার ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লী এবং তিন গ্রামের সাধারণ মানুষের জন্য এই ব্রিজ এখন এক অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরগোঁজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আজিজ বলেন, “ছোট ছোট শিশুরা এখন আর স্কুলে আসতে পারে না। প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে ক্লাস নিতে হয়।”
প্রধান শিক্ষক আবু জাফর মো. সালেহ জানান, “পুরনো আয়রণ ব্রিজটি মোটামুটি ভালো অবস্থায় ছিল। নতুন করে বানানোর কথা বলে তিন বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। বহুবার বললেও কেউ শুনছে না।”
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা জানায়, "এই সাঁকো পার হতে অনেক ভয় লাগে। আমাগো লেখাপড়া বন্ধ হইয়া যাইতাছে।”
স্থানীয় রেজাউল গাজী জানান, "ব্রিজ না হলে শিক্ষার আলো নেভে যাবে। তিন গ্রামের হাজারো মানুষের কষ্টের সীমা নেই।”
এলজিইডি’র সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদেকুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, প্রকল্পের ঠিকাদারের লাইসেন্স ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। নতুনভাবে আবার অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হলে কাজটি সম্পন্ন হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”