২৮ জুন ২০২৫, গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালের কাছে স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুতদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত এক ফিলিস্তিনির মরদেহ বহন করছেন স্বজনরা — গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী। (রয়টার্স)
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৮ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানায়। একদিকে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির আশার কথা বলছেন, অন্যদিকে গাজার আকাশে নেমে আসছে আগুনের বৃষ্টি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানানো হয়, গাজা শহরের একটি স্টেডিয়ামের পাশে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় শিশুসহ ১১ জনের প্রাণহানি ঘটে। স্টেডিয়ামটি বাস্তুচ্যুতদের অস্থায়ী আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। সেখানকার ফুটেজে দেখা যায়, খালি হাতে ও কোদাল দিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া আল-মাওয়ারি এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ও আশপাশের তাবুতে হামলায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাফা স্কুলের পাশে তুফাহ এলাকায় বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় উদ্ধারকাজে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দলগুলো বহু এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। মার্চে ফের যুদ্ধবিরতি ভেঙে নতুন করে ইসরায়েল হামলা শুরু করে। তিন ধাপের শান্তিচুক্তির প্রথম ধাপেই ব্যর্থতা দেখা দেয়। দ্বিতীয় ধাপে বন্দি ও জিম্মিদের বিনিময় এবং ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের কথা থাকলেও সেটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
এ অবস্থায় কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো। সম্প্রতি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সংঘর্ষ বন্ধ হওয়ার বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে।