ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সময় সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জানা গেছে, ‘সিগাচি কেমিক্যালস’ নামক ওই কারখানার একটি চুল্লিতে হঠাৎ বিস্ফোরণের ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে মুহূর্তেই ছাদ উড়ে যায় এবং ভেতরে থাকা কর্মীদের অনেকেই বিস্ফোরণের ধাক্কায় ১০০ মিটার দূরে ছিটকে পড়েন। জেলা প্রশাসন জানায়, মৃতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনকে শনাক্ত করা গেছে, বাকি মরদেহগুলো শনাক্তের কাজ চলছে।
বিস্ফোরণের ভয়াবহতা সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। কারখানার ছাদ উড়ে গিয়ে পড়ে প্রায় ১০০ মিটার দূরে। আগুন ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর দমকল বাহিনী ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। একের পর এক মরদেহ উদ্ধার হতে থাকে।
তেলঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী দামোদর রাজানরসিং জানান, বিস্ফোরণের সময় কারখানাটিতে প্রায় ৯০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ছাদের বিস্ফোরণে তাদের অনেকের মরদেহ ছিটকে পড়ে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলেই বিস্ফোরণটি ঘটে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত মন্তব্য থেকে বিরত থাকার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ এক শোকবার্তায় লিখেছেন, “তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডিতে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি শোকাহত। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” একই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারপ্রতি ২ লাখ রুপি এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এবং রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মাও শোক প্রকাশ করেছেন। এদিকে, এই ঘটনাকে ঘিরে বিরোধী দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) ‘পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ’ তদন্তের দাবি জানিয়ে রাজ্য কংগ্রেস সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে।
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হতাহতের প্রকৃত কারণ নির্ধারণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
