ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন যাত্রা শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যখন এই সিদ্ধান্ত নেয়, তখন থেকেই দলে একরকম অস্থিরতা চোখে পড়ে। অনেকের মতে, অভিমান থেকেই শান্ত সরে দাঁড়ান টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকেও। এর আগে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও ছেড়েছেন তিনি। ফলে, নেতৃত্ব নিয়ে বাংলাদেশ দলে এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আগামীকাল শুরু হতে যাচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি। এই সিরিজ দিয়েই ওয়ানডে ফরম্যাটে মিরাজের অধিনায়কত্বের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হবে। পাশাপাশি নতুন নেতৃত্বের পাশাপাশি দলেও এসেছে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। লম্বা সময় পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ ও ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা না পাওয়া লিটন দাস, শামীম পাটোয়ারী ও তানভীর ইসলামও ফিরেছেন স্কোয়াডে। অন্যদিকে বাদ পড়েছেন সৌম্য সরকার ও নাসুম আহমেদ।
একসময় বাংলাদেশের ক্রিকেট মানেই ছিল ‘পঞ্চপান্ডব’-এর আধিপত্য। মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন দলের চালিকাশক্তি। যদিও তারা কেউই এখন আর ওয়ানডে দলে নেই। সাকিব ও মাশরাফি কার্যত জাতীয় দলের বাইরে, তামিম অবসর নিয়েছেন। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন। এই বাস্তবতায় লঙ্কা সফরে বাংলাদেশের একাদশে থাকছে একেবারে নতুন মুখ ও চিন্তা।
সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর বাংলাদেশ দলকে ঘিরে নানা সমালোচনা ওঠে। তার আগে আফগানিস্তানের কাছেও সিরিজ হেরেছিল টাইগাররা। তবে সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২৪ সালের মার্চে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক পাঁচ দেখায়ও টাইগারদের পাল্লাই ভারী—তিন জয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ব্যাট-বলে আধিপত্য বিস্তার করে ড্র করলেও দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে। তাই এবার ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় মিরাজের কণ্ঠে। তিনি আশাবাদী, বাংলাদেশ লড়াই করবে এবং ভালো ফল নিয়ে মাঠ ছাড়বে।
সব মিলিয়ে শান্ত-মিরাজ অধ্যায়ের পরিবর্তনের মাঝে বাংলাদেশ ক্রিকেট এক নতুন দিগন্তে পা রাখছে। তরুণদের নিয়ে গড়া দল, নতুন নেতৃত্ব, পুরনো অভিজ্ঞতার শূন্যতা—সবকিছু মিলিয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজ হতে পারে ভবিষ্যতের পথে একটি নির্ধারক বাঁক।