প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশন্স ডিরেক্টরেটের (কর্নেল স্টাফ) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
সেনা সদর জানায়, বিভিন্ন সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে কর্মরত সেনা সদস্যদের কর্মকাণ্ড সেনাবাহিনী সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে না। তবে বিগত সময়ে কিছু সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্স ডিরেক্টরেটের (কর্নেল স্টাফ) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে বলেন, “গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনী জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাস করে।”
তিনি জানান, চলমান জুলাই গণআন্দোলনের সময়ে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত সামরিক হাসপাতালসমূহে (সিএমএইচ) চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৭৯০ জনকে। এদের মধ্যে বর্তমানে ২২ জন রোগী ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, সাম্প্রতিক রথযাত্রা উৎসবসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক অভিযানে কিশোর গ্যাং দমনে ৪০০ জনের বেশি সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
কর্ণেল শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২৩ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ অভিযানে আমাদের একজন সেনাসদস্য শহীদ হয়েছেন।”
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বারবারই বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সংবিধানের আওতায় থেকে তারা দায়িত্ব পালন করে। যে কোনো ধরনের অনিয়ম বা অপরাধের বিরুদ্ধে বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।