প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
পাশাপাশি তিনি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণের কথাও জানিয়েছেন।
শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার ভবনে অনুষ্ঠিত ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “গত ১৫ বছরে সাংবাদিকতায় ব্যর্থতা ছিল। এই সময়ের মধ্যে দেশে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে এবং অনেক মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। বিএনপি দাবি করছে, তাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ লাখ মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই সময় কতটা সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছি—এখন তা বিশ্লেষণ করা জরুরি।”
তিনি বলেন, “জাতিসংঘের কাছে আমরা চিঠি লিখছি। আমরা বলছি, আপনারা বাইরের বিশেষজ্ঞ পাঠান, তারা এসে তদন্ত করুক—এই সময়ের সাংবাদিকতা কতটা নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ছিল। এতে গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরবে এবং আমরা নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে পারব।”
প্রেস সচিব আরও বলেন, “একজন সাংবাদিকের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে পারে, কিন্তু প্রশ্ন হলো—তিনি কি অপতথ্য দিচ্ছেন? সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যটা সবার আগে বুঝতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশের সাংবাদিকরা পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার সেই নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”
বর্তমান সরকারের উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১১ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার একটি মুক্ত সংবাদমাধ্যম গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট ছিল। ইতোমধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি, কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থা যেন গণমাধ্যমকে ভয়ভীতি দেখাতে না পারে—সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ কেউ মিথ্যাচার করছে। সংবাদমাধ্যমের কাজ সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, আমরা সেটিকে স্বাগত জানাই। কিন্তু মিথ্যা প্রচার চালানোর সুযোগ দিলে তা গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।”
সভায় সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য একটি পৃথক কমিশন গঠন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ এবং আলাদা বেতন কাঠামোর দাবিও উত্থাপন করেন উপস্থিত সাংবাদিক নেতারা।