ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা হলরুমে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সচিব বলেন, বর্তমানে দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী থাকলেও প্রতিবছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী বেকার হচ্ছে। অন্যদিকে, কারিগরি শিক্ষা গ্রহণকারী এবং মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তিনি মনে করেন, দক্ষতার অভাবই বেকারত্বের অন্যতম বড় কারণ। এ জন্যই মাদরাসা শিক্ষায় কারিগরি শাখা চালু করা হচ্ছে, যাতে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেই চলবে না, দক্ষতা থাকতে হবে। দক্ষতা ছাড়া কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা কঠিন। তাই আমাদের শিক্ষকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে, শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে তুলতে হবে।”
কারিগরি শিক্ষা প্রসঙ্গে সচিব জানান, দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট শিক্ষার্থীর ৩০ শতাংশকে কারিগরি শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “দেশে টানা কয়েক দশক ধরে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা অবহেলিত ছিল, যা আমাদের জন্য বড় ভুল ছিল। এখন সময় এসেছে এই খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার।”
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন, সিলেট আঞ্চলিক কারিগরি শিক্ষা পরিচালক মোহাম্মদ রিহান উদ্দিন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরিচালক (কারিকুলাম) প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল কবির এবং সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম। বক্তারা সকলেই কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এর বিকল্প নেই।