ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৬৮ জন কের কাউন্টির বাসিন্দা, যার মধ্যে রয়েছে ২৮ জন শিশু। এছাড়া ট্র্যাভিস কাউন্টিতে ৬ জন, বারনেট কাউন্টিতে ৩ জন, কেন্ডাল কাউন্টিতে ২ জন, উইলিয়ামসন কাউন্টিতে ২ জন এবং টম গ্রিন কাউন্টিতে ১ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন আশঙ্কা করছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। টানা বৃষ্টিপাত ও প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই এলাকায় আরও ঝড় ও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ। এতে উদ্ধারকারীদের কাজ আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
উদ্ধারকারীরা জানান, কাদা ও ধ্বংসাবশেষের স্তূপে উদ্ধার তৎপরতার সময় তারা ইতোমধ্যে বিষধর সাপের সম্মুখীন হচ্ছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে। তিন দিন ধরে চলা উদ্ধার তৎপরতা ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে মৃতদেহ পুনরুদ্ধারের অভিযানে।
কের কাউন্টিতে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১০ জন শিশুর পরিচয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলমান রয়েছে।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এক বিবৃতিতে জানান, “প্রত্যেক নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে আমরা কোনো চেষ্টা বাকি রাখব না। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় ও ফেডারেল সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরিস্থিতিকে “দুর্যোগ নয়, জাতীয় ট্র্যাজেডি” হিসেবে অভিহিত করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই দুঃসময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ।” তিনি আগামী শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে পারেন বলেও জানান। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও জানান, তার প্রশাসন গভর্নর অ্যাবটের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টেক্সাসের পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে আরও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাতের ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এখন পর্যন্ত টেক্সাসের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটিই অন্যতম বৃহৎ উদ্ধার অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা এখন রূপ নিচ্ছে জাতিগত বেদনার এক মর্মান্তিক অধ্যায়ে।