বিজ্ঞাপন
দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক আনুষ্ঠানিক বার্তায় জানানো হয়েছে, কেউ ভিসা পাওয়ার পর যদি আইন লঙ্ঘন করেন বা ভিসার অপব্যবহার করেন, তবে তার ভিসা বাতিল করা হতে পারে।
সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়, "যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যেক ভিসা আবেদনকারীকে বিস্তৃত নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যার মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সন্ত্রাসবিরোধী ডেটাবেসের সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে দেখাও অন্তর্ভুক্ত।"
দূতাবাস আরও জানায়, ভিসা ইস্যু হওয়ার অর্থ এই নয় যে, যাচাই প্রক্রিয়া এখানেই শেষ। বরং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণরত ব্যক্তির গতিবিধি, আচরণ এবং ভিসা ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হয়। এতে যদি কোনোভাবে আইন লঙ্ঘন বা ভিসার শর্ত লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভিসা তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য ভিসা পাওয়া একধরনের সুযোগ, যা যথাযথভাবে সম্মান ও ব্যবহার করতে হয়। এ ধরনের বার্তা মূলত ভিসা প্রার্থীদের সতর্ক করার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যাতে তারা ভবিষ্যতে কোনো ধরনের আইনগত জটিলতায় না পড়েন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একজন অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন পরামর্শক বলেন, “অনেকে মনে করেন, একবার ভিসা পেয়ে গেলে সব ঝামেলা শেষ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নীতির আওতায় যেকোনো সময় ভিসার স্ট্যাটাস পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে।”
ঢাকায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এই ঘোষণা মূলত ভিসা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের উদ্দেশে একটি সময়োচিত সতর্কবার্তা, যেন তারা নিয়মমাফিক ভ্রমণ এবং অবস্থান নিশ্চিত করেন।
ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা পরিকল্পনায় থাকা নাগরিকদের জন্য দূতাবাসের এই বার্তা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শুধু ভিসা পাওয়া নয়, বরং তা ধরে রাখাও এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে আবেদনকারীদের সচেতনতা এবং নিয়ম মেনে চলাই হতে পারে ভবিষ্যতের নিরাপদ ভ্রমণের একমাত্র পথ।