বিজ্ঞাপন
শখের বসে শুরু করা সেই কাজ এখন রীতিমতো সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন সমবয়সী যুবক একদিন আড্ডায় বসে ভাবছিলেন, নিজ গ্রামে কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা যায় কি না। আলোচনার এক পর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেন—গ্রামের ফাঁকা জায়গায় সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে গাছ লাগাবেন। কথাটা যেমন, কাজটাও তেমন। শুরু করে দেন বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তারা একে একে সাজিয়ে তুলতে থাকেন এলাকার স্কুলপাড়া ও রাস্তাঘাট।
এই উদ্যমী যুবকদের মধ্যে আছেন আকাশ, রিয়াদ, জাহিদুল, সজীবসহ আরও অনেকে। তাদের একজন জানান, ‘পুরোটাই আমাদের শখের প্রকল্প। প্রথমে নিজেদের অর্থেই গাছ কিনি। পরে অর্থের স্বল্পতায় এলাকার মানুষের দ্বারস্থ হই। সবাই অনেক সাড়া দেন। তাদের সহযোগিতায় আবারও নতুন করে চারা কিনে লাগানো শুরু করি।’
তাদের তালিকায় কৃষ্ণচূড়া ছিল প্রথম পছন্দ। এখনো অনেক চারা রোপণ বাকি আছে বলে জানান তারা। স্কুলের পাশে, রাস্তার ফাঁকা জায়গায় যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই তারা বৃক্ষরোপণ করছেন।
এই কর্মকাণ্ডে খুশি এলাকাবাসী। তারা বলছেন, ‘এই যুবকদের উদ্যোগ অনুকরণীয়। সবাই যদি এভাবে এগিয়ে আসে, তাহলে পুরো গ্রামটাই বদলে যাবে।’
বৃক্ষের গুরুত্ব নিয়েও সচেতনতা তৈরি করছেন এই তরুণেরা। তারা মনে করেন, বৃক্ষ শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, পরিবেশকে শীতল রাখে, পশুপাখির আবাসস্থল তৈরি করে এবং মাটির ক্ষয় রোধে সহায়তা করে।
বিভিন্ন পেশায় যুক্ত এই তরুণেরা এখন এলাকায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তাদের দেখানো পথ ধরে আরও অনেকে উদ্যোগ নেবে—এটাই এখন এলাকার মানুষের প্রত্যাশা।
প্রতিবেদক - সজীব খান, শিবচর, মাদারীপুর।