বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে শুল্ক আলোচনার বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
তিন দিনব্যাপী আলোচনার এই শেষ দিনে কিছু বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে মতৈক্য গঠিত হলেও, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলোচনায় বেশ কিছু অগ্রগতি হলেও অন্যান্য বিষয়গুলোতে এখনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ফলে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শেষেও দুই দেশের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি—যেটা প্রথম দফায়ই করতে পেরেছে ভিয়েতনাম।
নতুন কোনো চুক্তি না হলে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেরিত চিঠি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানানো হয়েছে, সেটি বহাল থাকবে। উল্লেখ্য, এই শুল্কহার ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে আলোচনা চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। নিজেদের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে পুনরায় আলোচনা হবে। এসব আলোচনা ভার্চুয়ালি এবং সরাসরি উভয় পদ্ধতিতেই হতে পারে। শিগগিরই পরবর্তী দফার আলোচনার সময় ও তারিখ নির্ধারিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন চৌধুরীর আজ (১২ জুলাই) ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে প্রয়োজন হলে তারা আবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে পারেন।
আলোচনার পর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই একটি ইতিবাচক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, তিন দিনের আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। এছাড়া আরও কয়েকজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নীতি-নির্ধারক এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
তিনদিনব্যাপী আলোচনার পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করেছে ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস।