বারহাট্টা খাদ্য গুদামের উপ-পরিদর্শক মোঃ হুমায়ূন কবীর।
বিজ্ঞাপন
গত ২৯ জুন ২০২৫, জুন ক্লোজিং উপলক্ষে নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে গুদামটি পরিদর্শন করেন ইউএনও, যেখানে উন্মোচিত হয় উল্লেখযোগ্য অনিয়ম।
সরকারি নীতিমালার আওতায় গুদামে ১৪৬.০৮ মেট্রিক টন ধান থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে পাওয়া যায় ১৫৫.৫২ মেট্রিক টন, অর্থাৎ প্রায় ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান অতিরিক্ত মজুদ পাওয়া যায়। একই সঙ্গে খালি বস্তার হিসেবেও গরমিল লক্ষ্য করা গেছে। নির্ধারিত সংখ্যা অনুযায়ী গুদামে ৪২,৯৬৭টি খালি বস্তা থাকার কথা থাকলেও মজুদ ছিল মাত্র ৩৮,৫০০টি—ফলে ঘাটতি পড়ে ৪৪৬৭টি বস্তা।
পরিদর্শনের সময় গুদামের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক মোঃ হুমায়ূন কবীরকে এই অনিয়ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। পরবর্তীতে তিনি ধান ও বস্তার গরমিলের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং এটিকে ‘ভুলবশত’ ঘটেছে বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে বিষয়টি সংবাদে প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “ইউএনও মহোদয়ের পরিদর্শনে গুদামে ধান বেশি ও বস্তা কম পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তাঁদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপ-পরিদর্শক মোঃ হুমায়ূন কবীরকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান বলেন, “আমার বাৎসরিক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে গুদামে গিয়ে অনিয়ম ধরা পড়ে। প্রতিবেদনটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।”
এ অনিয়ম সামনে আসার পর গোটা উপজেলায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই এই ঘটনাকে সরকারি সম্পদ রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
প্রতিবেদক - মুহা. জহিরুল ইসলাম অসীম, নেত্রকোণা।
