প্রতীকী ছবি।
বিজ্ঞাপন
গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নতুন এ নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
আগের তুলনায় এবার কঠোর হয়েছে লাইসেন্সের যোগ্যতার মানদণ্ডও। ২০১৬ সালের বিধিমালা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তিকে পিস্তল কিংবা রিভলবারে লাইসেন্স নিতে হলে কমপক্ষে তিন লাখ টাকার আয়কর দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। বর্তমান নীতিমালায় সেটি বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা হয়েছে।
ব্যক্তি পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ফি দ্বিগুণ করা হয়েছে।
* পিস্তল ও রিভলবার লাইসেন্সের ফি ছিল ৩০ হাজার টাকা, এখন সেটি বেড়ে হয়েছে ৬০ হাজার টাকা।
* বন্দুক ও শর্টগান লাইসেন্সের ফি ২০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ হাজার টাকা।
* নবায়ন ফি রিভলবার ও পিস্তলের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
* বন্দুক, শর্টগান ও রাইফেল লাইসেন্সের নবায়ন ফি ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যাংক পর্যায়েও লাইসেন্স ফি বড় পরিসরে বাড়ানো হয়েছে।
* ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে লং ব্যারেল অস্ত্র ইস্যুর ফি ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
* নবায়ন ফি ৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
* লং ব্যারেল ইস্যুর ফি ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
* প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বন্দুক, রাইফেল ও শর্টগানের লাইসেন্স নবায়ন ফি ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
* ডিলার ও মেরামতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স নবায়ন ফিও ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তি পর্যায়ের সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। তখন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
বহু বছর বন্ধ থাকার পর, গত আগস্ট থেকে সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নতুন করে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৭৭টি নতুন লাইসেন্স ইস্যুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।