ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “গত কয়েক মাসে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি। আগামী ১৭ জুলাই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মূল পাঁচটি বিষয়ের ওপর চূড়ান্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ওই আলোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাবনাটি প্রথমে সরকারের নিকট পাঠানো হবে এবং পরে অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে চূড়ান্ত করানোর পর চায়নিজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নকে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ প্রকল্প চীন ও বাংলাদেশের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ, তাই এর সিদ্ধান্ত গ্রহণে দুই দেশের সম্মতি অপরিহার্য।”
বক্তব্যের পর সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সরাসরি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তার তীর রক্ষার কাজ পরিদর্শনে যান। এ সময় নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিস্তা নদীর তীর রক্ষা ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর সম্ভাব্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ, বন্যা প্রতিরোধ এবং কৃষিজমির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দেশের উত্তরাঞ্চলের সামাজিক-অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।