ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তুর্কি সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, সেনাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সামরিক পুলিশ। তবে মরদেহ উদ্ধারের নির্দিষ্ট সময়, আত্মহত্যার পদ্ধতি কিংবা ব্যক্তিগত পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানায়নি তারা।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, আত্মহত্যাকারী সেনা ‘নাহাল ব্রিগেড’-এর সদস্য ছিলেন এবং গাজা উপত্যকায় সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন।
এই ঘটনায় চলতি মাসেই তৃতীয়বারের মতো কোনো ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করলেন। এর আগে গত সপ্তাহে এক রিজার্ভ সেনা আত্মহত্যা করেন এবং আরেকজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় সামরিক ঘাঁটি থেকে। একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক মহল এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে লিখেছেন, “গত এক সপ্তাহে তিনজন সেনা আত্মহত্যা করেছেন। এটি এক দমবন্ধ করা বাস্তবতা।” তিনি সেনাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যানুসারে, ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, গত বছরের শেষার্ধে গাজায় শুরু হওয়া ভয়াবহ হামলার পর থেকে সেনাদের ওপর মানসিক চাপ বহুগুণে বেড়ে গেছে। যুদ্ধে সরাসরি যুক্ত থাকা সেনারা বিশেষভাবে হতাশা, অপরাধবোধ ও ট্রমায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, এই দীর্ঘমেয়াদি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ হাজার ৮০০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ। আন্তর্জাতিক মহল একে মানবিক বিপর্যয় এবং ‘গণহত্যামূলক অভিযান’ হিসেবে বিবেচনা করছে।