বিজ্ঞাপন
ইসলামে দোয়া হলো ইবাদতের মূল ভিত্তি। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “দোয়া ইবাদতের মূল।” (তিরমিজি, হাদিস: ৩৩৭১)
দোয়া কবুলের শর্ত ও সময়
দোয়া কবুলের জন্য আন্তরিকতা, হালাল উপার্জন এবং সুন্নাহসম্মত নিয়ম অনুসরণ করা জরুরি। পাশাপাশি হাদিসে কিছু বিশেষ মুহূর্তের কথা এসেছে, যখন দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
হাদিসে উল্লেখিত দোয়া কবুলের বিশেষ সময়
১. রাতের শেষ তৃতীয়াংশে:
রাসুল (সা.) বলেন, “প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ আসমান দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করে বলেন—‘কে আমাকে ডাকছে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব; কে কিছু চাইছে, আমি তাকে তা দেব; কে ক্ষমা চাইছে, আমি তাকে ক্ষমা করব।’” (সহিহ মুসলিম)
২. জুমার দিনের বিশেষ সময়:
রাসুল (সা.) বলেন, “জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন বান্দার দোয়া কবুল হয়।” (সহিহ বুখারি)
৩. আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়:
রাসুল (সা.) বলেন, “আজান ও ইকামতের মাঝে করা দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।” (তিরমিজি)
৪. সেজদারত অবস্থায়:
রাসুল (সা.) বলেন, “বান্দা সেজদায় থাকলে আল্লাহর সবচেয়ে নিকটে থাকে। তাই বেশি বেশি দোয়া করো।” (সহিহ মুসলিম)
৫. জমজমের পানি পান করার সময়:
রাসুল (সা.) বলেন, “জমজম পানি যে নিয়তে পান করা হয়, তা পূরণ হয়।” (ইবনে মাজাহ)
কেন দোয়া গুরুত্বপূর্ণ?
দোয়া হলো আল্লাহর সঙ্গে মুমিনের সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম। ক্ষমা প্রার্থনা সেই যোগাযোগের অন্তরঙ্গ দিক। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং উল্লিখিত মুহূর্তগুলো কাজে লাগানো একজন মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-এমএসকে