ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
গত দেড় মাসে কেজিপ্রতি চালের দাম ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে, ফলে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।
বুধবার কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবু ওসমান জানান, নতুন করে দাম না বাড়লেও আগের উচ্চমূল্যেই চাল বিক্রি হচ্ছে। তার মতে, “ধানের দাম বেশি থাকায় চালের দামও কমছে না। বিদেশ থেকে চাল আমদানি ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।”
বর্তমান বাজারদর (টিসিবি):
মোটা চাল (স্বর্ণা-ইরি): ৫৫–৬০ টাকা
মাঝারি চাল (পাইজাম-আটাশ): ৬০–৭০ টাকা
সরু চাল (নাজির-মিনিকেট): ৭৫–৮৫ টাকা
বোরো মৌসুমে দাম কমার কথা থাকলেও এবার উল্টো বেড়েছে। আবু ওসমানের ভাষায়, মিলগেটে মোটা চাল ৫২–৫৫ টাকা, মাঝারি ৫৮–৬০ টাকা এবং সরু চাল ৭৫–৭৬ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। এরপর বস্তাপ্রতি গাড়ি ভাড়া ও অন্যান্য খরচ যোগ হচ্ছে।
মোহাম্মদপুরের গৃহিণী রোজিনা আক্তারের অভিযোগ, “বোরো মৌসুমেও যদি চালের দাম বাড়ে, কমবে কবে? সংসারের ব্যয় বেড়েছে, কিন্তু আয় বাড়েনি।”
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ১৩ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে। নতুন করে আরও ৪ লাখ টন আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৫৫ লাখ পরিবারকে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “মজুতের ঘাটতি থাকায় অতিরিক্ত আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নিম্নবিত্তদের জন্য আগস্ট থেকে চাল বিতরণ কর্মসূচি চলবে।”
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, “দেশে খাদ্যশস্যের মজুত সন্তোষজনক। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে, প্রয়োজনে কেনা হবে।