ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকে গাজায় লাগাতার সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ তথ্যমতে, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৬৬৭ জনে। একই সময়ে আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করে হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলিতে সেদিন নিহত হন অন্তত ১,২০০ জন, আর জিম্মি করা হয় ২৫১ জনকে। এরপর থেকেই শুরু হয় গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান, যা টানা ১৫ মাস ধরে চলে।
চলমান আন্তর্জাতিক চাপ ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। কিন্তু দুই মাস পার না হতেই, ১৮ মার্চ থেকে আবার শুরু হয় দ্বিতীয় দফার অভিযান। এই নতুন পর্যায়ের হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৮৪৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২৮ হাজারে।
হামাসের হাতে অপহৃত ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে বর্তমানে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ ঘোষণা দিয়েছে, সামরিক অভিযান চালিয়ে যেকোনো মূল্যে এদের উদ্ধার করা হবে।
এদিকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা একাধিকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে। এমনকি হেগের আন্তর্জাতিক আদালতেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা চলছে।
তবে নেতানিয়াহু সাফ জানিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় না করা পর্যন্ত এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...