ছবি - আল জাজিরা, সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
গাজার স্বাস্থ্যকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, জিকিম এলাকায় জাতিসংঘের ত্রাণ কনভয়ের কাছ থেকে আটা সংগ্রহ করতে জড়ো হওয়া মানুষদের ওপর গুলি চালায় ইসরাইলি সেনারা। এতে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
এছাড়া রাফাহতে আরেকটি ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে হামলায় নয়জন নিহত হয়েছেন। মাত্র একদিন আগেই এই এলাকাতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন আরও ৩৬ জন। খান ইউনিসের একটি ত্রাণ কেন্দ্রের কাছেও গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত চারজন।
জিকিমের হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক ফিলিস্তিনি জানান,
“এখানে অ্যাম্বুলেন্স নেই, খাবার নেই, জীবন নেই। আমাদের বাঁচার কোনো পথ খোলা নেই।”
আরেকজন, ওসামা মারুফ, বলেন,
“আমরা একজন বৃদ্ধকে আনতে গিয়েছিলাম, তিনি শুধু কিছু আটা নিতে গিয়েছিলেন। আমি সাইকেল দিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পারিনি। আমার এখন কোনো আটা দরকার নেই—আমি শুধু চাই, এই কষ্টের অবসান হোক।”
ইসরাইলি সেনারা হামলার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দাবি, উত্তর গাজায় ‘হুমকি অনুভব করায়’ সতর্কতামূলক গুলি চালানো হয়েছিল। তবে তারা কোনো প্রমাণ বা বিস্তারিত তথ্য দেয়নি।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) ইসরাইলি সেনাদের এই বক্তব্যকে অস্বীকার করেছে। সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নিহতরা কেবল পরিবারের জন্য খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন।”
এমকে
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...