Logo Logo

১৮ বছর কারাবাসের পর মুক্তি পেলেন ১২ মুসলিম নাগরিক: ভারতের হাই কোর্টে ঐতিহাসিক রায়


Splash Image

ছবি-১৮ বছর কারাবাসের পর মুক্তি পেলেন ১২ মুসলিম নাগরিক, সংগৃহীত।


বিজ্ঞাপন


ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাইয়ে ২০০৬ সালের লোকাল ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রায় ১৮ বছর কারাবাস করার পর ১২ মুসলিম ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট। সোমবার (২১ জুলাই) সংবাদমাধ্যম মুসলিম মিরর-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

২০০৬ সালের ১১ জুলাই মুম্বাইয়ের পশ্চিম রেলপথের একাধিক লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১৮৯ জন নিহত এবং ৮০০-র বেশি মানুষ আহত হয়। ২০১৫ সালে এ মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

রায়ের মূল বক্তব্য:

বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি আনিল কিলোর ও বিচারপতি শ্যাম চাঁদক রায়ে উল্লেখ করেন, তদন্ত সংস্থা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আদালত বলেন, “প্রমাণের ঘাটতির কারণে পূর্বের রায় বাতিল করা হলো।” যদিও এখনও পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি প্রকাশ করা হয়নি।

কারা ছিলেন দণ্ডিত?

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা: কামাল আনসারি, মোহাম্মদ ফয়সাল আতাউর রহমান শেখ, এহতেশাম কুতুবউদ্দিন সিদ্দিকি, নাভিদ হুসেন খান ও আসিফ খান।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা: তানভীর আহমেদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম আনসারি, মোহাম্মদ মাজিদ মোহাম্মদ শফি, শেখ মোহাম্মদ আলি আলম শেখ, মোহাম্মদ সাজিদ মারগুব আনসারি, মুজাম্মিল আতাউর রহমান শেখ, সোহেল মাহমুদ শেখ ও জমীর আহমেদ লতিফুর রহমান শেখ।

এছাড়া ওহিদ শেখ নামে এক ব্যক্তি ৯ বছর কারাভোগের পর পূর্বেই খালাস পান।

আইনি লড়াই ও প্রশ্নবিদ্ধ তদন্ত

২০১৫ সালের বিশেষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা এবং রাজ্য সরকার উভয় পক্ষই আপিল করেছিল। তবে দীর্ঘ আইনি জটিলতার পর ২০২৪ সালে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী ও ওড়িশা হাই কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি ড. এস. মুরলিধর বলেন, “এই মামলা মূলত জনচাপ ও মিডিয়ার প্রচারের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছিল। শুরু থেকেই তাদের দোষী ধরে নেওয়া হয়।”

তিনি আরও বলেন, “যারা ১৮ বছর কারাগারে ছিলেন, তারা ও তাদের পরিবারও একধরনের হয়রানির শিকার হয়ে গেছে। এখন খালাস পেলেও জীবনের হারানো সময় কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে না।”

সূত্র-মুসলিম মিরর

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...