ছবি-মাওলানা আরশাদ মাদানী, সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “মুম্বাই হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে যে, ন্যায়ের মর্যাদা এখনো অটুট। সুপ্রিম কোর্টের উচিত এই রায় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ নেওয়া। আমরা বহু বছর ধরে বলে আসছি, মুসলিম যুবকদের সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।”
তিনি আরও বলেন, “এভাবে নির্দোষ যুবকদের জীবন ধ্বংসের পাশাপাশি একটি জাতিকে অপমান ও কলঙ্কিত করা হচ্ছে। আমরা বরাবরই দাবি করেছি, তদন্তকারী সংস্থা ও পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে পূর্ণ ন্যায়বিচার সম্ভব নয়।”
২০০৬ সালের মুম্বাই ট্রেন বিস্ফোরণে ১৮৯ জন নিহত ও ৮০০ জনের বেশি আহত হয়। ২০১৫ সালে বিশেষ আদালত ১২ জন আসামির মধ্যে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
কিন্তু গত রোববার মুম্বাই হাইকোর্ট বিচারপতি অনিল কিলোর ও বিচারপতি শ্যাম চন্দকের বেঞ্চে ট্রায়াল কোর্টের রায় বাতিল করে জানায়, প্রসিকিউশন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। আদালত উল্লেখ করে, “এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে আসামিরা এই অপরাধ করেছে।” আদালত তাদের মুক্তির নির্দেশ দেয়, যদি না অন্য কোনো মামলায় তাদের আটক রাখা হয়।
হাইকোর্ট আরও জানায়, বিস্ফোরণ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মানচিত্রের সঙ্গে সরাসরি কোনো প্রমাণিত যোগসূত্র নেই। এমনকি বোমার ধরনও প্রমাণিত হয়নি।
২০০৬ সালের ১১ জুলাই মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে মুম্বাইয়ের সাতটি লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে শহর কেঁপে ওঠে। ফার্স্ট ক্লাস কামরায় রাখা চাপকল বোমার বিস্ফোরণ ঘটে সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিট থেকে ৬টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে, মাতুঙ্গা রোড, মাহিম জংশন, বান্দ্রা, খার রোড, জোগেশ্বরী, ভাইয়ন্দর ও বোরিভালি স্টেশনের কাছে।