ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে এ নিয়ে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ জনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত অনাহারে মারা যাওয়া ১০১ জনের মধ্যে ৮০ জনই শিশু। জাতিসংঘ গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘মৃত্যু ও ধ্বংসের এক ভয়াবহ প্রদর্শনী’ বলে উল্লেখ করেছে।
ডব্লিউএফপির তথ্য অনুযায়ী, গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ কয়েকদিন ধরে না খেয়ে আছে। মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও কমপক্ষে ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
খাদ্য সংকট এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, ছয় সপ্তাহ বয়সী এক শিশু দুধের অভাবে মারা গেছে। শিশুটির নাম ইউসুফ আবু জাহির। তার চাচা আদহাম আল-সাফাদি রয়টার্সকে জানান, ‘বাজারে কোথাও দুধ নেই। পাওয়া গেলেও একটি ছোট টিনের দাম ১০০ ডলার পর্যন্ত।’
ইসরাইলি অবরোধের কারণে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই গাজায় খাদ্যের মজুদ ফুরিয়ে গেছে। মে মাসে আংশিক অবরোধ শিথিল করে সীমিত ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বর্তমানে গাজায় ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন। তবে এ ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
সূত্র- আল জাজিরার।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...