ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “সামর্থ্য ও সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ইসলামি দেশগুলো গাজার মানুষের জন্য কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক।”
২১ জুলাই কাবুলের গুলখানা প্রাসাদে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর মহাসচিব শেখ ড. মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা’র নেতৃত্বে আসা একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
আফগান প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ফিলিস্তিনে নিরীহ মুসলমানদের ওপর যে হত্যাযজ্ঞ ও নিপীড়ন চলছে, তা মানবতা ও উম্মাহর জন্য গভীর আঘাতের। অথচ মুসলিম বিশ্ব এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও কার্যকর প্রতিবাদ কিংবা পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আল্লাহ মুসলিমদের হৃদয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্যের আগ্রহ জাগিয়ে দিন।”
এ সময় ওআইসি মহাসচিব আফগানিস্তান সফরে আসতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আফগানিস্তান ইসলামি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এখানে স্থিতিশীলতা ও টেকসই ইসলামি শাসন দেখতে চাই।”
বিশ্বের নানা চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কিছু উগ্র চিন্তাধারার গোষ্ঠী ইসলামি বিশ্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওআইসি আফগানিস্তানের পাশে থাকবে।”
আলোচনায় আলেমদের ভূমিকা তুলে ধরে আফগান প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইসলামি উম্মাহর সংকট মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় দায়িত্ব আলেমদের। সাধারণ জনগণ বা সরকার নয়, বরং নবীদের উত্তরসূরি হিসেবে আলেমদের উচিত শাসকদের সঠিক পথে পরিচালিত করা, যেন মুসলিম বিশ্বের সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
-এমকে
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...