ইসরায়েলি সেনাপ্রধান ইয়াল জামির। ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জামির এই মন্তব্য করেন। সামরিক মূল্যায়নের এক বৈঠকে তিনি বলেন, “ইরান ও তার মিত্রদের এখনো আমাদের লক্ষ্যবস্তু হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ইরানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান এখনো শেষ হয়নি।”
তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনীকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা “বৃহৎ ও ব্যাপক পরিসরে চলমান অভিযানের জন্য প্রস্তুত থাকে”, বিশেষ করে যেসব এলাকায় ইসরায়েল বিমান ও স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
সিরিয়া ও হিজবুল্লাহ সম্পর্কে জামির বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই, তারা যেন কৌশলগত সামর্থ্য অর্জন করতে না পারে। নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আমরা স্বাধীনতা বজায় রাখব এবং জুডিয়া ও সামারিয়া (ওয়েস্ট ব্যাংক) অঞ্চলেও সক্রিয় থাকব।”
গাজা যুদ্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ইতিহাসে অন্যতম জটিল ও কঠিন যুদ্ধ। এই যুদ্ধে আমাদের চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। তবে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত থামব না— জিম্মিদের মুক্তি ও হামাসকে ধ্বংস করাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় ৫৯ হাজার ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে এবং ভয়াবহ খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটি এখন প্রায় বসবাসের অযোগ্য।
এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...