বিজ্ঞাপন
বিমানটি সাইবেরিয়াভিত্তিক 'আঙ্গারা এয়ারলাইন্স' পরিচালিত আনটোনভ-২৪ মডেলের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ছিল।
রাশিয়ার আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি অরলভ এক বিবৃতিতে জানান, বিমানটি ব্লাগোভেশচেনস্ক শহর থেকে চীনের সীমান্তবর্তী টাইন্দা শহরের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রাপথে হঠাৎ রাডার থেকে এটি অদৃশ্য হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় অনুসন্ধান।
গভর্নর আরও জানান, উড়োজাহাজটিতে ৫ শিশুসহ মোট ৪৩ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন, কেউই জীবিত নেই।
বিধ্বস্তের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে পোড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষের একটি ভিডিও। এরপর রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটি একটি আট সেকেন্ডের ফুটেজ প্রকাশ করে, যেখানে গভীর জঙ্গলের মধ্যে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন বিমানের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
রুশ জরুরি বিভাগের হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা জানায়, দুর্গম বনাঞ্চলের মধ্যেই খোঁজ মেলে বিধ্বস্ত বিমানের। ফিউসেলাজ অংশে তখনও আগুন জ্বলছিল।
দুর্ঘটনার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে কারিগরি ত্রুটি বা বৈরী আবহাওয়া দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় গোটা রাশিয়া জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সরকারি পর্যায়ে দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...