Logo Logo

থাইল্যান্ডের সামরিক ঘাঁটি ও হাসপাতালে কম্বোডিয়ার রকেট হামলা, নিহত অন্তত ১২


Splash Image

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে কয়েক দশকের পুরনো সীমান্ত বিরোধ ফের রক্তাক্ত সংঘাতে রূপ নিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী বান নাম ইয়েন প্রদেশে একটি সামরিক ঘাঁটি এবং একটি বেসামরিক হাসপাতালে রকেট হামলা চালিয়েছে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী। এতে অন্তত ১১ জন বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সেনা নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

থাইল্যান্ডের এক সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলায় ব্যবহৃত রকেটগুলো ছিল বিএম-২১ ঘরানার বিস্ফোরক রকেট। হামলার পর থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একযোগে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বেসামরিক এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে বিরত থাকতে কম্বোডিয়াকে সতর্ক করেছে।

থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং লাওসের সীমানা যেখানে মিলেছে, সেই অঞ্চলে অবস্থিত ‘এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল’ বা ‘পান্না ত্রিভুজ’ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। প্রাচীন মন্দির সমৃদ্ধ এই ভূখণ্ডকে নিজেদের দাবি করে আসছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া উভয়ই।

দীর্ঘদিনের সীমান্ত সংঘর্ষের পর প্রায় ১৫ বছর আগে যুদ্ধবিরতিতে গিয়েছিল দুই দেশ। কিন্তু গত মে মাসে থাই সীমান্তে কম্বোডিয়ার এক সেনা নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

সাম্প্রতিক উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে গতকাল বুধবার, যখন সীমান্তের কাছে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক থাই সেনা গুরুতর আহত হন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে কম্বোডিয়ার দুটি সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় থাইল্যান্ড। এই বিমান অভিযানের প্রতিক্রিয়ায়ই রকেট হামলা চালায় কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী।

থাই বিমান হামলার পর কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এই আক্রমণের “সমুচিত জবাব” দেওয়া হবে। এবং সেই প্রতিশোধ হিসেবেই এই রকেট হামলা চালানো হয় বলে ধারণা করছে থাই কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...