Logo Logo

সীমান্তে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান কম্বোডিয়ার


Splash Image

দুই দিন ধরে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে এবং ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘর ছেড়েছে।


বিজ্ঞাপন


জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিয়া কেও এক বিবৃতিতে জানান, তার দেশ নিঃশর্তভাবে সংঘাত বন্ধের পক্ষপাতী এবং এই বিরোধের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান কামনা করে।

অন্যদিকে, থাইল্যান্ড এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাবের ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এর আগে সীমান্তবর্তী আটটি জেলায় সামরিক আইন জারি করেছে থাই কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাত শুক্রবার পর্যন্ত সীমান্তের অন্তত ১২টি স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই সতর্ক করে বলেন, “এই সংঘাত বড় ধরনের যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। এতে ভারী অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে।”

দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও উঠেছে। থাইল্যান্ড অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়া বেসামরিক এলাকাগুলোতে গুলি চালাচ্ছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার অভিযোগ, থাইল্যান্ড ক্লাস্টার বোমার মতো নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিকদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। থাইল্যান্ড এখন পর্যন্ত এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।

এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বিশ্ব নেতারা উভয় দেশকে শান্তি আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে সংঘাত নিরসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে তার দেশ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...