বিজ্ঞাপন
চলমান এই সংঘাত শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন গাজার নিয়ন্ত্রক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এরপর থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৬৭৬ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৫ জন ফিলিস্তিনি।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র দুই মাস পর, ১৮ মার্চ থেকে আবারও সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার অভিযানে আড়াই মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৫২৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩১ হাজার ৯৩৪ জন।
হামাসের হাতে থাকা ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করছে ইসরায়েল। আইডিএফ জানিয়েছে, সামরিক অভিযানের মাধ্যমেই জিম্মিদের মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
গাজায় চলমান এই সহিংসতা বন্ধে একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগে মামলাও দায়ের হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় না করা এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...