ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৫ জুলাই) তারা এই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী এমপিদের মধ্যে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিসহ ৯টি রাজনৈতিক দলের সদস্য রয়েছেন। এমনকি প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টিরও বেশ কয়েকজন এমপি এ তালিকায় রয়েছেন। হাউস অব কমন্সে মোট আসন ৬৫০টি। সেই হিসাবে এক-তৃতীয়াংশ এমপি এই উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
চিঠির উল্লেখযোগ্য স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের বর্তমান উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রায়েনার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার।
চিঠিতে বলা হয়, “আমরা জানি, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষমতা এককভাবে যুক্তরাজ্যের নেই। কিন্তু আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্যের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাজ্য যদি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়, তবে তা স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক বার্তা হিসেবে কাজ করবে।”
এর আগে গত বুধবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। ম্যাক্রোঁর এই ঘোষণার মাত্র দু’দিন পরই স্টারমারকে চিঠি দেন দুই শতাধিক ব্রিটিশ এমপি।
তবে এই চিঠির জবাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার জানান, এখনই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় হয়নি।
এক বিবৃতিতে স্টারমার বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যে একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া সেই প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপ। এর আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে— যেমন গাজায় অবরুদ্ধ সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করা এবং একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন। এই ধাপগুলো অতিক্রম না করলে স্বীকৃতির বাস্তব কোনো ফল হবে না।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্য তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে যেন গাজায় যুদ্ধের অবসান হয় এবং মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব হয়।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...