ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
সীমান্তে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চলা গোলাগুলির জেরে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই।
কাম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা জানান, সর্বশেষ হামলায় আরও ১২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাতজন বেসামরিক নাগরিক এবং পাঁচজন সেনাসদস্য। এর আগে বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের গোলার আঘাতে একটি বৌদ্ধ মন্দিরে আশ্রয় নেওয়া একজন নিহত হন।
থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই দিনের সংঘর্ষে তাদের ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ছয়জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জন বেসামরিক ও ২৯ জন সেনা। অন্যদিকে কাম্বোডিয়া জানিয়েছে, সংঘর্ষে তাদের অন্তত ৫০ জন বেসামরিক ও ২০ জনের বেশি সেনা আহত হয়েছেন।
সীমান্তে একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন থাই সেনা আহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সংঘাতের সূচনা ঘটে। এরপর উভয়পক্ষ একে অপরের ভূখণ্ডে হামলা চালাতে শুরু করে। থাইল্যান্ড অভিযোগ করে, কাম্বোডিয়ান সেনারা তাদের বেসামরিক স্থাপনায় রকেট হামলা চালিয়েছে। একটি পেট্রল পাম্পে হামলায় ছয়জন নিহত হন।
জবাবে থাই বিমানবাহিনী এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে কাম্বোডিয়ার ভূখণ্ডে বোমা হামলা চালায়। ওদ্দার মেইঞ্চে প্রদেশে একটি বৌদ্ধ মন্দিরে চালানো হামলায় এক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
কাম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ। তারা দাবি করেছে, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের শামিল। অপরদিকে, থাইল্যান্ড কাম্বোডিয়াকে বেসামরিক নাগরিক ও একটি হাসপাতালে হামলার অভিযোগে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেছে।
থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অন্তত ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য ৩০০টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। একইভাবে, কাম্বোডিয়ার প্রেক্ষা ভিহেয়ার প্রদেশ থেকেও প্রায় ২০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘খমের টাইমস’।
থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী আটটি জেলায় সামরিক আইন জারি করেছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নিউইয়র্কে এক জরুরি বৈঠক ডাকে। তবে বৈঠক শেষে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও, বার্তা সংস্থা এপির বরাতে জানা গেছে, নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যই উভয় পক্ষকে সংযম অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে। সেইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির পথ খোঁজার ওপর জোর দিয়েছে তারা।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...