বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা রোববার (২৭ জুলাই) ভোর থেকে নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৯ জন সরাসরি সহায়তা পেতে ত্রাণকেন্দ্রের সামনে অবস্থান করছিলেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টির কারণে আরও ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ২ জন শিশু রয়েছে। এ নিয়ে কেবল অপুষ্টি ও অনাহারের কারণে প্রাণহানির সংখ্যা ১৩৩ জনে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ৮৭ জন শিশু।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, মার্কিন-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রের সামনেও হামলার ঘটনা ঘটছে, যেখানে প্রতিদিনই প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
জাতিসংঘ দীর্ঘদিন ধরেই গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রতিদিন অভুক্ত থাকছে। সংস্থাটির হিসাবে, ৯০ হাজার নারী ও শিশু বর্তমানে মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে এবং তাদের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গাজায় চলমান সহিংসতায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, এমনটাই জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অধিকাংশ বাসিন্দা বারবার বাসস্থান হারিয়েছেন এবং ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এটি একটি দীর্ঘায়িত মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের নীরবতা ও কার্যকর চাপের অভাবে অবরুদ্ধ গাজায় সহিংসতা ও দুর্ভিক্ষের করাল ছায়া প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...