Logo Logo

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করলো জান্তা সরকার


Splash Image

দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর পর অবশেষে দেশে থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছে মিয়ানমারের সেনা-সমর্থিত জান্তা সরকার। বহুল আলোচিত এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে।


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) এক লিখিত আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেওয়া এক অডিও বার্তায় জান্তা সরকারের মুখপাত্র জৌ মিন তুন বলেন, “বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার স্বার্থে সরকার পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে লক্ষ্যেই আজ থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হলো।”

এর আগে চলতি বছরের ৮ মার্চ এক অনুষ্ঠানে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইং ঘোষণা দিয়েছিলেন, মিয়ানমারে আগামী ডিসেম্বর কিংবা ২০২৬ সালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার জান্তার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মিয়ানমারে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। ওই নির্বাচনে অং সান সুচি’র নেতৃত্বাধীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও সেনাবাহিনী নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলে। এরপর ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা দেশের ক্ষমতা দখল করে এবং জরুরি অবস্থা জারি করে।

অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সুচি। গ্রেপ্তার করা হয় তাকে, তার দলের এমপি ও মন্ত্রীদের, এমনকি এনএলডির বহু নেতাকর্মীকেও। এখনো হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মী কারাগারে আটক রয়েছেন। ২০২৩ সালে এনএলডির দলীয় নিবন্ধন বাতিল করে জান্তা সরকার।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের এই পদক্ষেপ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেও রাজনৈতিক বিরোধীদের কারাবন্দি রেখে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...