Logo Logo

চীনা অস্ত্রে ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান


Splash Image

৭ মে ২০২৫, মধ্যরাতের কিছু পর—পাকিস্তান বিমানবাহিনীর অপারেশন্স রুমে হঠাৎ জ্বলে উঠে রেড অ্যালার্ট সিগনাল। ভারত সীমান্তে একাধিক সক্রিয় যুদ্ধবিমান শনাক্ত হওয়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠে পুরো রুম।


বিজ্ঞাপন


কয়েকদিন ধরেই ভারতীয় হামলার আশঙ্কায় অপারেশন্স রুমের পাশে ঘুমিয়ে ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির সিধু।

আশঙ্কার সূত্রপাত ঘটে ২৬ এপ্রিল, যখন ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে এক সশস্ত্র হামলায় নিহত হন ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক। দিল্লি দ্রুত এর জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে এবং ‘উপযুক্ত প্রতিশোধ’-এর হুমকি দিতে থাকে। এমন উত্তেজনার মধ্যেই ভারত মধ্যরাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে—যা পরিণত হয় সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ আকাশযুদ্ধে।

ভারতের হামলার জবাবে তৎক্ষণাত চীনের তৈরি জে-১০সি যুদ্ধবিমান উড়ানোর নির্দেশ দেন পাকিস্তানি বিমানবাহিনী প্রধান। পাক বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিধুর সরাসরি নির্দেশ ছিল ভারতের অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করা।

রাফাল—ফ্রান্সের তৈরি, ভারতীয় বাহিনীর জন্য একপ্রকার ‘প্রেস্টিজ অস্ত্র’। কখনো যুদ্ধক্ষেত্রে এ বিমান ভূপাতিত হয়নি। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম ঘটল। পাকিস্তান দাবি করেছে, চীনা জে-১০সি যুদ্ধবিমান অন্তত একটি রাফালকে সফলভাবে ভূপাতিত করতে পেরেছে।

পাক-ভারত যুদ্ধবিমান সংঘর্ষ চলে এক ঘণ্টা ধরে, যেখানে অংশ নেয় উভয় পক্ষের প্রায় ১১০টি বিমান। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই ছিল আকাশে সবচেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধ। রাফালের পতনের খবরে বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফ্রান্সের ডসল্ট অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর পড়ে যায়। ইন্দোনেশিয়ার মতো সম্ভাব্য ক্রেতারা জানায়, তারা এখন রাফালের বদলে চীনা যুদ্ধবিমান ক্রয়ে আগ্রহী।

পাকিস্তানি ও ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাফালের পারফরম্যান্সের চেয়ে গোয়েন্দা ব্যর্থতাই এ পরাজয়ের মূল কারণ। ভারতের ধারণা ছিল, জে-১০সি বিমানে ব্যবহৃত চীনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যক্ষমতা ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর সক্ষমতা প্রায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ভুল ধারণার কারণে ভারতীয় রাফাল পাইলটরা নিজেদের ‘নিরাপদ’ মনে করেছিলেন।

এক পাকিস্তানি কর্মকর্তা বলেন, “আমরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালাই। সেই সঙ্গে ভারতীয় পাইলটদের বিভ্রান্ত করতে চালানো হয় ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার।” যদিও ভারত এখনো এই ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

লন্ডনের পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (RUSI) আকাশযুদ্ধ বিশ্লেষক জাস্টিন ব্রঙ্ক বলেন, “ভারতীয়রা ধারণা করেনি তাদের বিমানের দিকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষিপ্ত হবে। কিন্তু PL-15 ক্ষেপণাস্ত্র যে দূরবর্তী লক্ষ্যেও আঘাত হানতে সক্ষম, তা এবার প্রমাণিত হলো।”

বিশ্বে এই মুহূর্তে কেবল চীন ও পাকিস্তানই জে-১০সি যুদ্ধবিমান ও PL-15 ক্ষেপণাস্ত্র একত্রে ব্যবহার করে। এই টেকনোলজিক্যাল সমন্বয়ই পাকিস্তানকে রাফালের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক সাফল্য এনে দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনায় শুধু ভারত নয়, পশ্চিমা সামরিক কৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। রাফালের বিপরীতে চীনা যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে, বৈশ্বিক অস্ত্রবাজারে শক্তির ভারসাম্য দ্রুতই পরিবর্তিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...