বিজ্ঞাপন
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৩৩০ জনে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯ জন।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিহত ও আহতের এই হিসাব কেবল তাদেরই, যাদেরকে হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে ও সড়কে পড়ে থাকা অসংখ্য মরদেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব এবং অব্যাহত বোমাবর্ষণের কারণে উদ্ধারকাজ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে প্রকৃত নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর পাশাপাশি খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশও সীমিত করে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে সেখানে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অপুষ্টি ও না খেতে পেয়ে মারা গেছেন ২০১ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ৯৮ জনই শিশু।
ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৭৭২ জন, যার মধ্যে শুধু শুক্রবারই প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। অপুষ্টি ও ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহতদেরও মোট নিহতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় তারা। এর পরপরই হামাসের হামলার জবাব এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ।
১৫ মাসেরও বেশি সময় টানা অভিযান চালানোর পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। তবে বিরতির দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের দ্বিতীয় দফা অভিযান শুরু হয়। এতে গত প্রায় পাঁচ মাসে নিহত হয়েছেন ৯ হাজার ৮২৪ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার ৩১৮ জন।
হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করছে ইসরায়েল। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে। ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...