বিজ্ঞাপন
জাহাজটি জেনোয়া থেকে অস্ত্র বোঝাই করে আবুধাবিতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে বন্দরের কর্মীরা জানতে পারেন, জাহাজে আগেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল, যা দখলদার ইসরায়েলে পাঠানো হবে।
জাহাজটিতে প্রবেশ করে প্রায় ৪০ জন বন্দরের কর্মী অস্ত্রের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন। জানা যায়, ইতালিতে আসার আগে এই জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড থেকে অস্ত্র বোঝাই হয়ে এসেছে।
জেনোয়ার অটোনোমাস কালেক্টিভ অব পোর্ট ওয়ার্কার্স অ্যান্ড ইউনিয়নের নেতা জোসে নিভোই বলেন, “আমরা যুদ্ধের জন্য কাজ করি না।” তিনি আরো জানান, অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনা ধরা পড়ার পর বন্দরের কর্তৃপক্ষ একটি স্থায়ী পর্যবেক্ষক দল গঠন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে এই ধরনের কার্যক্রম রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
২০১৯ সালে জেনোয়া বন্দরের কর্মীরা একই রকম একটি অস্ত্রবাহী জাহাজ আটকে দিয়েছিলেন, যা ইসরায়েলের জন্য ছিল।
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বর্বর গণহত্যার পেছনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বন্দরের কর্মীরা সরব হচ্ছেন। এর আগে, চলতি বছরের ৪ জুন ফ্রান্সের ফোস-মার্সেইয়ে বন্দরের কর্মীরা ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র সরবরাহের উপকরণ লোড করতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে ওই জাহাজ অস্ত্র উপকরণ বোঝাই না করেই চলে যায়।
সাম্প্রতিক এ উদ্যোগগুলো বিশ্বজনীন শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইউরোপীয় সমাজের মানবিক অবস্থানের প্রমাণ দেয়। পাশাপাশি, গাজায় নিরীহ মানুষের উপর চলমান বর্বরতা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...