বিজ্ঞাপন
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর ও বাটগ্রাম এলাকায়। শুধুমাত্র খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিহত হয়েছেন ২০০-এর বেশি, গিলগিট বালতিস্তানে ১২ জন এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ১৯ জন।
ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার সময় দেশটির একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। ওই ঘটনায় দুজন পাইলটসহ মোট পাঁচজন নিহত হয়েছেন। খাইবার পাখতুনখোয়া বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, দেশব্যাপী ২৮ জন আহত হয়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোট ১১৬টি বাড়ি। খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৪টি বাড়ি আংশিকভাবে এবং ১৪টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। গিলগিট বালতিস্তানে ১৪টি আংশিক ও তিনটি সম্পূর্ণ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আজাদ কাশ্মীরে আংশিকভাবে ২৩টি এবং ২৮টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় বহু বাড়ি ভেসে গেছে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক এলাকায় ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে।
উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিবিসির সহকর্মী জুবেইর খান জানান, মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে ভূমিধসে চাপা পড়ে বহু মানুষ এখনও উদ্ধার হয়নি।
পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, অতিরিক্ত বর্ষণ চলতে থাকলে আরও বিস্তৃত ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...