বিজ্ঞাপন
গত বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায় এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা পর তাকে এক মাস আগে এনসিপির আগমনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দায়েরকৃত একটি সন্দিগ্ধ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে।
অভিযোগে প্রকাশ, প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সভাকক্ষে পূর্বের থেকেই বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙানো ছিল। কিছু দিন আগে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের বর্তমান কমিটির একটি পক্ষ অজ্ঞাত কারনে ছবিটি সরিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে গত ১০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সাব্বির বঙ্গবন্ধুর ছবিটি পুনরায় টাঙান, যা সাংবাদিক শিহাব সহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এর পরদিন ১১ আগস্ট পুলিশ সাব্বিরকে গ্রেফতার করে। একইদিন প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সভাকক্ষে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬তম জন্মদিন পালিত হয়। সাংবাদিক শিহাবও সেদিন সেখানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা করেন এবং পুরো অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করে প্রচার করেন। এর একদিন পর গত ১৩ আগস্ট রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল শিহাবকে “পুলিশ সুপার ডেকেছেন” বলে তুলে নিয়ে যায় এবং এক মাস আগে এনসিপির আগমনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দায়েরকৃত একটি সন্দিগ্ধ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক শিহাব উদ্দিন দীর্ঘ ৩-৪ বছর যাবৎ ভোরের বাণী পত্রিকায় নিয়মিত কাজ করে আসছেন। সেই সাথে তিনি প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের একজন নির্বাহী সদস্য এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন গোপালগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সাংবাদিক পেশায় নিয়োজিত হওয়ার পর থেকেই কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে তার সম্পৃক্ততা ছিল না বলে জানা যায়।
অভিযোগে আরো জানা যায়, প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সভাপতি জুবায়ের হোসেন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং বর্তমানে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। অপরদিকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সাব্বির হোসেন সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। একসময়ে তারা দু’জনে মিলে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের নেতৃত্ব দিয়েছেন কিন্তু বর্তমানে তাদের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট।
এদিকে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনের গ্রেফতারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। তারা বলেছেন, সভাপতি জুবায়ের ও মহাসচিব সাব্বির দু’জনে মিলে একসাথে কমিটি করে দখল করেন প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ। তবে এখন কেন তাদের দু’জনের দ্বন্দ্বে ‘বলির পাঁঠা’ হতে হলো সাংবাদিক শিহাবকে? সেও তো তাদের দেয়া কমিটির একজন সদস্য। আমরা প্রশাসনের নিকট অবিলম্বে সাংবাদিক শিহাবের মুক্তি দাবি করছি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...