বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, বুলবুল মীরের বিরুদ্ধে পূর্বধলা থানায় মোট ১৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি মামলা বিচারাধীন। সর্বশেষ মানিক চন্দ্র বনিক করা ডাকাতি মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে তাকে শুক্রবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের ধুবাউড়া উপজেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। পরে শনিবার সকালে পূর্বধলা থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যৌথ টিম তাকে আটক করে।
শনিবার দুপুরে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ নূরুল আলম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, “বুলবুল মীরকে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হোগলা ইউনিয়নজুড়ে বুলবুল মীরের প্রবল প্রভাব বিস্তার ছিল। যুবলীগের সহ-সভাপতির পদবী ব্যবহার করে তিনি বছরের পর বছর মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
হোগলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. দুলাল খান বলেন, “বুলবুলের অত্যাচারে ইউনিয়নের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। গ্রামবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছিল।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বলেন, “সে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। মাদক থেকে শুরু করে এমন কোনো অপকর্ম নেই যেখানে সে জড়িত নয়। যুবলীগের পরিচয় ব্যবহার করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...