বিজ্ঞাপন
রাহুল দাবি করেছেন, কংগ্রেস শিগগিরই ভোট চুরির অকাট্য প্রমাণ উন্মোচন করবে, যাকে তিনি ‘হাইড্রোজেন বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রলডটইন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিহারের পাটনায় ‘ভোটাধিকার যাত্রা’র সমাপনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল আসনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকায় কীভাবে ভোট চুরি সংঘটিত হয়েছে, তার প্রমাণ কংগ্রেস ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছে।
রাহুলের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ তাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “ভেতরে বা বাইরে—যেখানেই রাহুল গান্ধীর বক্তব্য শুনি না কেন, বোঝার জন্য সময় লাগে উনি আসলে কী বলতে চাইছেন। নির্বাচনের সঙ্গে পরমাণু বোমা বা হাইড্রোজেন বোমার তুলনা কেন করছেন? বিরোধীদলীয় নেতা হয়ে নিজেকে কেন ছোট করছেন?”
এর আগে গত ৭ আগস্ট রাহুল দাবি করেছিলেন, মহাদেবপুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা ছয় মাস ধরে পরীক্ষা করে কংগ্রেস এক লাখেরও বেশি অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। তার অভিযোগ অনুযায়ী, এসব অনিয়মে নির্বাচন কমিশন বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ করেছে।
তিনি জানান, ওই তালিকায় ১১ হাজার ৯৬৫ জনের নাম ছিল ডুপ্লিকেট, ৪০ হাজার ৯ জন ভোটারের ঠিকানা ভুয়া বা অকার্যকর, ১০ হাজার ৪৫৪ জন ভোটার একই ঠিকানায় নিবন্ধিত, ৪ হাজার ১৩২ জনের ছবি অকার্যকর এবং ৩৩ হাজার ৬৯২ জনের ক্ষেত্রে ফরম-৬ অপব্যবহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ফরম-৬ হলো নতুন ভোটার নিবন্ধনের আবেদনপত্র।
কংগ্রেসের দাবি, শুধু কর্ণাটকেই নয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ‘শৈল্পিক কারচুপি’র মাধ্যমে জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দখল করেছে বিজেপি। ওই নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট পরাজিত হয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আগাড়ি জোটকে।
তবে নির্বাচন কমিশন কংগ্রেসের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত ১৪ আগস্ট কমিশন রাহুলের মহাদেবপুরা-সংক্রান্ত অভিযোগকে ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও কমিশন জানিয়েছিল, ভোটের ফলাফল নিয়ে হতাশ রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ হাস্যকর’।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...