বিজ্ঞাপন
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করে সফলভাবে ভূপাতিত করেছে। সেনাবাহিনী জানায়, হামলার কিছু অংশ দখলকৃত ভূখণ্ডের বাইরে পড়েছে। এই ঘটনায় ইয়েমেনি পক্ষ এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
এর আগে, বুধবার ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি ঘোষণা করেন, তারা দুটি ভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ফিলিস্তিন-২ ক্লাস্টার এবং যুলফিকার ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়।
সারি দাবি করেন, হামলার ফলে 'লক্ষ লক্ষ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী' আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে এবং তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি উল্লেখ করেন, এই অভিযান গাজার জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসেবে পরিচালিত হয়েছে।
মুখপাত্র সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠী কখনোই নিরাপত্তা ও শান্তি ভোগ করবে না।” তিনি আরও দাবি করেন, আগামী দিনে ইয়েমেনের সামরিক অভিযান আরও তীব্র আকার ধারণ করবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ শুরু করার পর ইয়েমেনি হুথিরা প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে। ওই দিন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ নামে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে, যা এই সংঘাতের সূত্রপাত হিসেবে গণ্য করা হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...