বিজ্ঞাপন
উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল জব্বার বুধবার রাত ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে হাবিব নামে একজন শ্রমিক নিহত হওয়ায় এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নিহতের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
জেলা জজ কোর্টের জিপি এডভোকেট আবু মো. সোয়েম জানান, “এভারগ্রীন কারখানার শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে বেপজা কর্তৃপক্ষ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে। চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকদের অন্যায়ভাবে ছাঁটাই, বেতন কাটা বা চাপ প্রয়োগ করা যাবে না।”
জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ড. খায়রুল আনাম বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে চলা সভায় সব পয়েন্টের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বেপজা কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ প্রদানে আশ্বস্ত করেছে।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন আলী মন্তব্য করেন, “শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।”
এছাড়া জেলা এনসিপি নেতা এডভোকেট নুর মোহাম্মদ বলেন, “শ্রমিকদের সকল দাবির ব্যাপারে কথা বলা হয়েছে এবং তা প্রায়াংশে সমাধান হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত ৩০ আগস্ট এভারগ্রীন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা ২৩ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামেন। এই আন্দোলন দ্রুত ইপিজেডের অন্যান্য কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার যৌথবাহিনী পদক্ষেপ নিলে সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত এবং অন্তত অর্ধশতজন আহত হন। ওই ঘটনার পর থেকে ইপিজেডের ২৪টি কারখানা বন্ধ ছিল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...