বিজ্ঞাপন
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানার হলরুমে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার শিপন শেখ উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামের বুরাক শেখের ছেলে।
ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, সালমান হত্যা মামলার তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নয়ন কাজীকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালিঘাট গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় শিপন শেখকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত একটি দুই ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
শিপনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা গেছে, নিহত সালমানের গ্রামে একটি হত্যা মামলা ছিল। সেই মামলার পাল্টা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য শিপনের চাচা রিপনসহ কয়েকজন পরিকল্পনা করেন সালমানকে হত্যা করার। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রিপন ও নয়ন শিপনকে অর্থের প্রলোভন দেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঘটনার দিন রাতে সালমানের চাচা রিপন তাকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যান। পরে ৮ থেকে ৯ জন মিলে নির্মমভাবে সালমানকে হত্যা করা হয়।
ওসি শরিফুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেফতার শিপন শেখের বিরুদ্ধে পূর্বেও একটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ মে (শুক্রবার) সকালে উপজেলার শামুকখোলা গ্রামের কাউলিডাঙ্গা বিল থেকে সালমান খন্দকারের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১১ মে নিহতের ভাই নাহিদ খন্দকার বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...