ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিমানবন্দরের যাত্রী টার্মিনাল থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এর কিছুক্ষণ আগেই দাবি করেছিল, ইয়েমেন থেকে ছোড়া তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। কিন্তু এরপরই একটি ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে সরাসরি রামোন বিমানবন্দরে গিয়ে আছড়ে পড়ে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সাধারণত আকাশসীমায় ড্রোন বা মিসাইল প্রবেশ করলে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজে। তবে এ হামলার সময় কোনো সাইরেন বাজেনি। কেন সাইরেন বাজেনি এবং ড্রোনটি কীভাবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে আঘাত হানল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলার পর বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকার আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্স সেবাপ্রদানকারী সংস্থা মেগান ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, হামলায় অন্তত দুজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একজনের শরীরে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ আঘাত হানে, অপরজন আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে আরও কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ড্রোনটি সরাসরি যাত্রী টার্মিনালে আঘাত হানায় সেখানে অবস্থানরত যাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
এর আগে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় হুতি সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ ১২ মন্ত্রী নিহত হন। এরপর প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে হুতিরা জানায়, ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় ধারাবাহিকভাবে আঘাত হানা হবে। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় প্রায় প্রতিদিনই তারা ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ছুড়ে আসছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...