বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে দোহারের উত্তর কাতারা এলাকার একটি আবাসিক ভবনকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্তত আট দফা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল হামাসের শীর্ষ নেতা ও মুখপাত্র খলিল আল হায়া এবং পশ্চিম তীর শাখার নেতা জাহের জাবারিনকে হত্যা করা। হামলায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ১৫টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং মাত্র ১০ মিনিট স্থায়ী হয় অভিযানটি।
হামাসের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। সেই বৈঠক চলাকালে ভবনটি লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালায় আইডিএফ।
হামলার নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, “আমরা নিশ্চিত করে বলছি, শত্রুরা আমাদের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে। এ হামলা প্রমাণ করে যে নেতানিয়াহুর সরকার কোনো শান্তি চুক্তি চায় না; বরং শান্তি স্থাপনের যেকোনো উদ্যোগকে ব্যাহত করতে বদ্ধপরিকর।” সংগঠনটি এ ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য অপরাধ’, ‘নির্লজ্জ আগ্রাসন’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনের অশালীন লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।
কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় ছয়জন নিহত ও কয়েকজন আহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। তবে সেখানে হামাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে কাতার সরকার এ হামলাকে “কাপুরুষোচিত” বলে আখ্যা দিয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করেছিল, তাদের লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ন্যায্য।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...