বিজ্ঞাপন
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার, তার ভাই পরিচালক রিক হক সিকদার এবং তাদের তিন বোন—মমতাজুল হক সিকদার, লিসা ফাতেমা হক সিকদার ও পারভীন হক সিকদারকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া রিক হক সিকদারের ছেলে জন হক সিকদারও আসামির তালিকায় রয়েছেন।
এ ছাড়া এম. এস কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপারস ও ম্যাম ইমপেক্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সালাউদ্দিন, মাহবুব এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ মাহবুব-ই-করিম, মো. শেখ আলম ও মনিশংকর বিশ্বাসকেও আসামি করা হয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এস আলম ছাড়াও ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এম. এম. মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহুরুল হক, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আজিজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, সাবেক পরিচালক ফারজানা পারভীন, আতিকুর নেসা, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ ইসহাক, আহমদ মুক্তাদির আরিফ, ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মনোনীত পরিচালক খন্দকার ইফতেখার আহমদ, বদরুন নেছা, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর এবং মো. ওয়াহিদুল আলম শেঠও আসামি হয়েছেন।
দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রন হক সিকদার ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর ‘বেঙ্গল অ্যান্ড এম সার্ভিসেস’-এর নামে ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় হিসাব খোলেন। একই দিন তিনি পাওয়ার প্লান্টের দুটি কার্যাদেশ বাস্তবায়নের কথা বলে ১৫০ কোটি টাকার বাই-মুরাবাহা ঋণের আবেদন করেন।
তবে তদন্তে কোনো কার্যাদেশ বা জামানতের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ঋণ অনুমোদন করে এবং ওই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ১২টি ডিলের মাধ্যমে পুরো ১৫০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়। একই দিন সিকদার গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এম. এস কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপারস, মাহবুব এন্টারপ্রাইজ ও ম্যাম ইমপেক্সকে যথাক্রমে ৪৭ কোটি, ৪৮ কোটি ও ৬০ কোটি টাকা দেওয়া হয়।
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, কোনো জামানত, কার্যাদেশ বা প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই ছাড়াই অনুমোদিত এই ঋণের অর্থ একই দিনে বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়। ২০২৫ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সুদসহ বকেয়া দাঁড়িয়েছে ২০৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি।
দুদকের কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের পর আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম ও সিকদার পরিবারের বিরুদ্ধে অর্ধ ডজনেরও বেশি মামলা হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...