বিজ্ঞাপন
কলেজ পড়ার পাশাপাশি তিনি তার ৪০ শতক জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে বর্ষাকালীন সুপার হট মরিচ চাষাবাদ করছেন। তার আগ্রহ দেখে পরিবারও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। চলতি বছরে মরিচের দাম ভালো থাকায় মাহাবুব স্বস্তিতে আছেন। প্রতি ৭–১০ দিনে তিনি তার ক্ষেত থেকে ৭–৮ মন মরিচ তুলছেন। বর্ষাকালীন মরিচ তোলা সম্ভব টানা ৮ মাস পর্যন্ত।
মাহাবুব ভোরের বাণী’র প্রতিনিধিকে জানান, “ইতিপূর্বে শীতকালীন মরিচ চাষ করেছি। চলতি বছরে আধুনিক পদ্ধতিতে বর্ষাকালীন সুপার হট মরিচ চাষ করেছি। বাজারে মরিচের চাহিদা বেশি এবং দাম ভালো থাকায় লাভের মুখ দেখছি।”
একই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মজিবুল হক বলেন, “মাহাবুবের এই উদ্যোগ শুধু তার সুনামই বৃদ্ধি করেছে না, বরং নতুন উদ্যোক্তাদের জন্যও উদাহরণ তৈরি করেছে।”
স্থানীয় আব্দুর রশিদ শাহ মন্তব্য করেন, “যেসব এলাকায় মরিচ চাষের উপযোগী পরিবেশ আছে, সেখানে সুপার হট মরিচ চাষ করলে বাজারে মরিচের দাম স্বস্তির সঙ্গে স্থিতিশীল হবে।”
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. আতিক হোসেন বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুপার হট মরিচ চাষ করা একটি ভালো উদ্যোগ। সদর উপজেলার কৃষি নির্ভর এলাকায় অন্যান্য মসলা চাষের পাশাপাশি মরিচ চাষাবাদে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”
মাহাবুব হোসেনের এই চাষাবাদ স্থানীয় কৃষি সম্প্রদায়ের জন্য নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টির পাশাপাশি, নীলফামারী অঞ্চলে মরিচের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...