Logo Logo

দোহায় হামাস বৈঠকে ইসরায়েলি হামলা, কাতারের পাশে দাঁড়াল জাতিসংঘ


Splash Image

ছবি- সংগৃহীত

কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। বিরলভাবে যুক্তরাষ্ট্রও কাতারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে পরিস্থিতি প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকের আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে পরিষদের সব সদস্য রাষ্ট্র কাতারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এবং দ্রুত পরিস্থিতি প্রশমনের আহ্বান জানায়। আশ্চর্যের বিষয়, ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও এই নিন্দা বিবৃতিতে একাত্ম হয়।

ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের খসড়া করা ওই বিবৃতিতে ইসরায়েলের নাম সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও বলা হয়— কাতারের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা সংহতি প্রকাশ করছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি প্রশমন করা জরুরি। একই সঙ্গে গাজায় যুদ্ধ, ভোগান্তি বন্ধ করা এবং জিম্মিদের মুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়। বর্তমানে গাজায় ৪০ জনেরও বেশি জিম্মি আটক আছেন, যাদের মধ্যে মাত্র ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার দোহায় চালানো এই নজিরবিহীন হামলায় পাঁচজন হামাস সদস্য নিহত হন। তবে সংগঠনটি জানিয়েছে, তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গেছে। এ ঘটনায় এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হওয়ায় উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। হামলার সময় হামাস নেতারা দোহায় বৈঠকে বসেছিলেন, যেখানে আলোচ্যসূচি ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত নতুন শান্তি চুক্তি।

সাধারণত জাতিসংঘে ইসরায়েলকে রক্ষার ভূমিকা নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার ওয়াশিংটন থেকে ভর্ৎসনা এসেছে। কার্যনির্বাহী মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডরোথি শে বলেছেন, “কাতারে একতরফা বোমাবর্ষণ, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র যেটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার ঝুঁকি নিচ্ছে। এ ধরনের হামলা ইসরায়েল বা আমেরিকার লক্ষ্য কোনোভাবেই এগিয়ে নেয় না।”

তিনি আরও যোগ করেন, এর মানে এই নয় যে ইসরায়েলের জিম্মিদের ঘরে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ভাষা ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছিল। তারপরও বিবৃতিটি তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এতে ওয়াশিংটনের অবস্থান কিছুটা বদলেছে।

হামলার পরপরই হোয়াইট হাউস জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আগে থেকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়নি। পরে তিনি তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে নির্দেশ দেন কাতারকে সতর্ক করতে। তবে তখনই হামলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, কাতারে এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে, এবং আগামী দিনগুলোতে হোয়াইট হাউস থেকে আরও স্পষ্ট বিবৃতি আসতে পারে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...