ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
সৌদির জেদ্দা অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির প্রধান মাজেদ আবু জাহরা বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)-কে জানান, এই ঘটনা প্রমাণ করে চাঁদসহ অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর গতিপথ নির্ণয়ে ব্যবহৃত গাণিতিক গণনা কতটা নিখুঁত। এর ফলে বিশ্বের মুসলমানরা নামাজের দিক অর্থাৎ কিবলা আরও নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, “এটি কেবল একটি মহাজাগতিক সৌন্দর্যের দৃশ্যই নয়, বরং বৈজ্ঞানিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। এর মাধ্যমে আমাদের মডেল ও পর্যবেক্ষণের যথার্থতা যাচাই করা সম্ভব হয়েছে।”
পবিত্র কাবা শরীফে উপস্থিত হাজারো মুসল্লির জন্য এই দৃশ্য ছিল এক বিরল আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা। অন্যদিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বাস্তব সময়ে পর্যবেক্ষণ করে গাণিতিক মডেলের সঙ্গে তুলনা করে বিভিন্ন কোণ ও উচ্চতা বিশ্লেষণ করার সুযোগ পেয়েছেন।
আবু জাহরা আরও উল্লেখ করেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদ সপ্তর্ষিমণ্ডল বা ‘সেভেন সিস্টার্স’ নক্ষত্রপুঞ্জের সামনে দিয়ে যাবে। সে সময় এটি একে একে কিছু নক্ষত্রকে সাময়িকভাবে আড়াল করবে। আরব বিশ্বের বহু স্থানে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা সম্ভব হবে।
ঐতিহাসিকভাবে সূর্য, চাঁদ ও নক্ষত্রের অবস্থান দেখে নামাজের সময় ও কিবলা নির্ধারণ ইসলামী জ্যোতির্বিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজও এ ধরনের মহাজাগতিক ঘটনা মুসলিমদের কাছে আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বহন করার পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক আগ্রহও জাগিয়ে তোলে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...